Skip to main content


বাংলা উইকিপিডিয়ায় নিবন্ধ সম্প্রসারণ ও নতুন নিবন্ধ তৈরি করতে বরাকের বাংলা ভাষা আন্দোলন এডিটাথন ২০১৯-এ যোগদান করুন।

বাংলাদেশ সরকার

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
পরিভ্রমণে ঝাঁপ দিনঅনুসন্ধানে ঝাঁপ দিন
National emblem of Bangladesh.svg
 এই নিবন্ধটি বাংলাদেশের রাজনীতি ও সরকার
ধারাবাহিকের অংশ
বাংলাদেশ সরকার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক পরিচালিত হয়, যিনি অন্যান্য সকল মন্ত্রীগণকে বাছাই করেন। প্রধানমন্ত্রী এবং অন্যান্য প্রধান উচ্চপদস্থ মন্ত্রীগণ সর্বোচ্চ সিদ্ধান্ত গ্রহণ কমিটির সদস্যপদ লাভ করেন, যা মন্ত্রীসভা নামে পরিচিত।
বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী হলেন শেখ হাসিনা, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী, যিনি ২৯শে ডিসেম্বর ২০০৮ এর সাধারণ নির্বাচনে বিজয়ের ফলাফলস্বরূপ ২০০৯-এর ৬ জানুয়ারি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিযুক্ত হন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তার দ্বারা পরিচালিত হয় এবং এবং এর ১৪ দলীয় মহাজোট দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠ সংসদ সদস্য পদলাভের মাধ্যমে বিজয় লাভ করে এবং সাংখ্যিকভাবে ২৯৯ টি আসনের মাঝে ২৩০ টি আসন এই দলের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।[১]
১৯৭১ এ অস্থায়ী সরকার গঠন এবং অস্থায়ী সংবিধান প্রণয়নের পর থেকে অদ্যাবধি বাংলাদেশের সরকার ব্যবস্থা কমপক্ষে পাঁচবার পরিবর্তিত হয়েছ। বাংলাদেশের বর্তমান সরকার ব্যবস্থা সংসদীয় পদ্ধতির। এই পদ্ধতিতে প্রধানমন্ত্রীর হাতে সরকারের প্রধান ক্ষমতা ন্যস্ত থাকে। বহুদলীয় গণতন্ত্র পদ্ধতিতে এখানে জনগণের সরাসরি ভোটে জাতীয় সংসদের সদস্যরা নির্বাচিত হন। নির্বাহী (executive) ক্ষমতা সরকারের হাতে ন্যস্ত। আইন প্রণয়ন করা হয় জাতীয় সংসদে। বাংলাদেশের সংবিধান ১৯৭২ সালে প্রণীত হয়, এবং এখন পর্যন্ত এতে ১৭টি সংশোধনী যোগ করা হয়েছে।[২] [৩]
দাপ্তরিক প্রধান
দপ্তরনামদলদায়িত্বগ্রহণের সময়
বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতিআব্দুল হামিদআওয়ামী লীগ২৪ মার্চ ২০১৩
প্রধানমন্ত্রীশেখ হাসিনাআওয়ামী লীগ৬ জানুয়ারি ২০০৯
সংসদ স্পিকারশিরীন শারমিন চৌধুরীআওয়ামী লীগ৩০ এপ্রিল ২০১৩
প্রধান বিচারপতিসৈয়দ মাহমুদ হোসেনদল নিরপেক্ষ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

নির্বাহী বিভাগ[সম্পাদনা]

বাংলাদেশের সরকার নির্বাহী বিভাগ পরিচালনা করে। প্রধান মন্ত্রী ও মন্ত্রী সভার সদস্যরা বিভিন্ন নির্বাহী সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন।

রাষ্ট্রপতি[সম্পাদনা]

সাংবিধানিক ভাবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপ্রধান ও সংসদীয় পদ্ধতিতে সর্বোচ্চ পদমর্যাদার অধিকারী হলেন রাষ্ট্রপতি। রাষ্ট্রপতি হওয়ার ন‍্যূনতম বয়স ৩৫ বছর। জাতীয় সংসদ সদস্যদের ভোটে তিনি নির্বাচিত হন। স্পিকার (সংসদের পঞ্চদশ সংশোধনীর পূর্বে ছিল প্রধান বিচারপতি) রাষ্ট্রপতিকে শপথ বাক্য পাঠ করান। নির্বাচিত হওয়ার পর শপথ গ্রহণের পর থেকে তার মেয়াদকাল ৫ বছর। আবার রাষ্ট্রপতি পদত্যাগ করতে পারেন স্পিকারের নিকট পদত্যাগ পত্র দাখিলের মাধ্যমে। রাষ্ট্রপতি সংবিধানের ৫০(২) ধারা মতে ধারাবাহিক ২ বারের অধিক মেয়াদে ক্ষমতায় থাকতে পারবেন না। তিনি জাতীয় সংসদের অধিবেশন আহ্বান করেন। ৫৬(৩) অনুচ্ছেদ অনুসারে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ ও ৯৫(১) অনুচ্ছেদ অনুসারে প্রধান বিচারপতি নিয়োগের ক্ষেত্রে তাকে প্রধানমন্ত্রীর সুপারিশ নিতে হয় না। একই সঙ্গে তার ওপর আদালত এর কোনো এখতিয়ার বারিত। রাষ্টপতির অনুপস্থিতিতে তার দায়িত্ব পালন করবেন স্পিকার স্বয়ং। রাষ্ট্রপতি প্রধামন্ত্রীর পদত্যাগ পত্র গ্রহণ করবেন। তার নিকট কোনো বিল পেশ করার ১৫ দিনের মধ্যে তা অনুমোদন করতে হয় নচেৎ তা স্বয়ংক্রিয় ভাবে অনুমোদিত হয়ে যায়। তবে অর্থ বিল এ সম্মতি দানে তিনি বিলম্ব করতে পারবেন না। দুই-তৃতীয়াংশ সংসদের ভোটের মাধ্যমে শারীরিক বা মানসিক কোনো কারণে রাষ্ট্রপতিকে অপসারণ করা যায়। তার সরকারি বাসভবন বঙ্গভবন মতিঝিল এর দিলকুশায় অবস্থিত। তার নিরাপত্তায় বিশেষ বাহিনী হলো প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্ট (PGR) ও স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (SSF)।

প্রধানমন্ত্রী[সম্পাদনা]

বাংলাদেশের সরকারপ্রধান মন্ত্রিপরষদ এর প্রধান হলেন প্রধানমন্ত্রী। তাকে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি। প্রধানমন্ত্রী হতে হলে ন‍্যূনতম ২৫ বছর হতে হবে। কিন্তু বাস্তবে তা অসম্ভব। তিনিই জাতীয় সংসদের সংখ্যা গরিষ্ঠ দলের নেতা বা নেত্রী যিনি প্রধান নির্বাহী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ৫৫ ও ৫৬ নং ধারা অনুযায়ী মন্ত্রিপরিষদের শীর্ষে থাকবেন এবং মন্ত্রিপরিষদের সভায় সভাপতিত্ব করবেন। তিনি মন্ত্রী, উপমন্ত্রী, ও প্রতিমন্ত্রীদের নিয়োগ দেন। তিনি একইসাথে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ নির্বাহী কমিটি (একনেক) এর সভাপতি/চেয়ারপার্সন। তার সরকারি বাসভবন এর নাম গণভবন, যা ঢাকার শেরেবাংলা নগরে অবস্থিত। তবে তার কার্যালয় ঢাকার তেজগাঁও অবস্থিত। বর্তমান মাননীয় প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনা সর্বোচ্চ সময় ক্ষমতায় থাকা বাংলাদেশের একমাত্র প্রধানমন্ত্রী।

মন্ত্রীসভা[সম্পাদনা]

স্থানীয় সরকার[সম্পাদনা]

আইন বিভাগ[সম্পাদনা]

বাংলাদেশের আইনসভার নাম জাতীয় সংসদ। এটি এক কক্ষীয়, এবং ৩০০ জন সংসদ সদস্য জনগণের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হন। এছাড়া নারীদের জন্য ৫০ টি সংরক্ষিত আসনের বিধান রয়েছে, যেসব আসন সংসদ সদস্যদের মাধ্যমে বণ্টিত হয়।

বিচার বিভাগ[সম্পাদনা]

বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট দেশের সর্বোচ্চ আদালত।বেশিরভাগ মামলা প্রথমত নিম্ন আদালতে রায় দেয়ার পর সুপ্রিম কোর্টে স্হানান্তরিত হয়।সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর রায় কার্যকর করতে আর কোন বাধা থাকে না, তবে মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত অপরাধী কে রাষ্ট্রপতি চাইলে জীবনভীক্ষা দিতে পারে।

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1.  "Hasina wins Bangladesh landslide", BBC
  2.  "Nasim swipes at Khaleda"। bdnews24.com। জুলাই ১৮, ২০১১। ১৯ মার্চ ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ আগস্ট ২০১১
  3.  Constitutional amendmentsবাংলাপিডিয়া হতে।

পরিভ্রমণ বাছাইতালিকা

Comments